জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “বিমান মাইলস্টোন স্কুলে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল।” তিনি অভিযোগ করেন, “সচিবালয় এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র ও গুন্ডামির আস্তানা হয়ে উঠেছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে গণ্যই করা হয় না।”

Oct 27, 2025 - 01:19
 0  1
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “বিমান মাইলস্টোন স্কুলে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল।” তিনি অভিযোগ করেন, “সচিবালয় এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র ও গুন্ডামির আস্তানা হয়ে উঠেছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে গণ্যই করা হয় না।”

রোববার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা লাল ফিতার জটিলতা ও প্রভাবের শৃঙ্খল থেকে কখনোই মুক্তি পাবে না। এটি আমাদের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্য।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল বিসিএসের বৈষম্য রোধের দাবিতে। কিন্তু আজও পিএসসির কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা রয়ে গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখনো ভাগ-বাটোয়ারা ও পোস্টিং নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাদের অগ্রাধিকারে চাকরিপ্রার্থীরা নেই, বরং পদোন্নতি ও প্রভাবই মুখ্য।”

এনসিপি নেতা অভিযোগ করেন, “অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে আমলারা। তারা নিজেদের পদোন্নতি নিশ্চিত করেছে, কিন্তু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের দুর্ভোগ এখনো কমেনি।”

তবে তিনি পিএসসির কিছু উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “পিএসসি আন্তরিকভাবে সংস্কারের চেষ্টা করছে এবং এক বছরের মধ্যে বিসিএস সম্পন্ন করার সুপারিশও দিয়েছে। কিন্তু চাকরি বিধি সংশোধনের ক্ষমতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারা যদি অনিয়ম বন্ধ করতে না পারে, তাহলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য থেকে চাকরিপ্রার্থীরা কখনোই মুক্তি পাবে না।”

হাসনাতের মতে, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এখনই সংস্কার করা জরুরি, নয়তো এই অদক্ষতা ও উদাসীনতা নতুন প্রজন্মের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করবে।”

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0