বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদ (৮ম অধিবেশন)
সময় ও স্থান: শনিবার, সকাল ১০টা — মতিঝিলস্থ মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার।
সভাপতি: আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।
অধিবেশনে সভাপতিত্বে—মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।
উপস্থিত: সারাদেশ থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক তৃণমূল নেতা এবং শুরা সদস্যবৃন্দ।
আলোচ্য মূল বিষয়:
-
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের খেলাফত মজলিসের অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া নির্ধারণ (এককভাবে/ইসলামী পার্টি সমঝোতা/বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যে থেকে)।
-
সংগঠনের নীতিগত অবস্থান, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ইসলাম, দেশ ও সংগঠনের কল্যাণকে অগ্রাধিকার প্রদানের নির্দেশনা।
-
নির্বাচনে ঘোষিত প্রার্থীদের প্রতি কার্যালয়গত দায়িত্ব ও জনগণের পাশে থাকার শপথ।
শুরা অধিবেশে গৃহীত নয়টি প্রস্তাব (সংক্ষিপ্ত):
১. সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন।
২. আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও ইসলামের অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ।
৩. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা ও গণভোটের দাবি।
৪. ফিলিস্তিন ও ভারতের মুসলিম নিধন বন্ধে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ।
৫. কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা।
৬. সীমান্ত হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার।
৭. ইসকনসহ সকল হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন মোকাবিলা।
৮. পশ্চিম তীরকে ইস্রায়েলের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ।
৯. খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ব মুসলিমদের প্রতি আহ্বান।
মৌখিক সিদ্ধান্ত ও আহ্বান:
-
সকল স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ শুরা-নির্ধারিত নীতির প্রতি পূর্ণ আস্থা ও নিঃশর্ত সমর্থন প্রদানের প্রতি আহ্বান।
-
সংগঠনের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সকলের দোয়া ও সমন্বিত প্রয়াস কাম্য।
-
নির্বাচনে অংশগ্রহণকে মূল লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হবে; নির্বাচনী সিদ্ধান্ত শুরা-নির্ধারিত পদ্ধতিতে কার্যকর হবে।
সংগঠনের উদ্দেশ্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও খেলাফতভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুশৃঙ্খল আন্দোলন।
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0