বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিএনপি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটগ্রহণের দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “বিএনপির এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।”
তিনি বলেন, উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক সংস্থা, যারা দীর্ঘদিন ধরে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্ট। “এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই,”—বলেন তিনি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।” তিনি আরও সতর্ক করেন যে, ইসি যদি এ ধরনের “ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর” দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অপ্রয়োজনীয় দাবি উঠতে পারে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এ পরিস্থিতিতে বিএনপির এই প্রস্তাব “আমলে না নেওয়ার” আহ্বান জানিয়েছেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে বিএনপি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জমা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম প্রস্তাব ছিল—যে প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সংস্থা হিসেবে পরিচিত, তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোভাবেই ভোটগ্রহণের দায়িত্বে যেমন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং বা পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0