আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। সোমবার (২৪ নভেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আমন ২০২৪–২৫ ও বোরো ২০২৫ মৌসুমের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। সোমবার (২৪ নভেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আমন ২০২৪–২৫ ও বোরো ২০২৫ মৌসুমের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। আমন ও বোরো মৌসুমে সংগ্রহ, চুক্তি, ব্যবস্থাপনা, সততা ও সমন্বয়সহ বিভিন্ন সূচকে বিশেষ অবদান রাখা মোট ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ১ জন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৫ জন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ১০ জন এবং ব্যবস্থাপক, চলাচল ও সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিলিয়ে মোট ১৫ জন রয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়লেও খাদ্য অধিদপ্তর ব্যতিক্রম ছিল। কর্মকর্তারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো বড় সংকট দেখা দেয়নি। তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান।

আমন মৌসুমের সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি জানান, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে ন্যূনতম ধরে আরও বেশি সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধান-চালের মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যে কৃষক ধান নিয়ে আসবে, তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না—শুধু আদ্রতা যাচাই করতে হবে।”

নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে, কারণ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বহু কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্বে যুক্ত থাকবেন। সংগ্রহে শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “গুদামে বস্তাবন্দি পচা চাল পাওয়া গেলে তা বরদাস্ত করা হবে না। শাস্তি দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কোনো স্থান নেই।” দেশের খাদ্য মজুদ মানসম্মত রেখে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলেই আমদানির প্রয়োজন কমবে বলেও তিনি জানান।