"৩১-দফা" আলোকে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা" ও ফলাফল-পুরস্কার বিতরণী প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করেছে। আজকের পৃথিবীতে মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি ও যোগ্যতার প্রতিযোগিতা চলছে সর্বত্র। তাই এই প্রতিযোগিতামূলক যুগে টিকে থাকতে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অপরিহার্য।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা মাদরাসা বা স্কুল—যেখানেই পড়ো না কেন, মনে রাখবে সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হলে আধুনিক ও ব্যবহারিক শিক্ষায় পারদর্শী হতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আগামী দিনের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে একনিষ্ঠতা, দৃঢ় মনোবল এবং নিরলস পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন, “মেধা বিকাশের জন্য দরকার নিয়মিত অনুশীলন, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি। মেধা জন্মগত হতে পারে, কিন্তু এর বিকাশ নির্ভর করে ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ওপর।”

খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, প্রেস উইংয়ের সদস্য সাইরুল কবীর খান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং পাকুন্দিয়া বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন প্রমুখ।

খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৮৪টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১০ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ ১০ জনসহ মোট ৪০ জন শিক্ষার্থীকে প্রধান পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সান্ত্বনা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার আল আশরাফ মামুন।