আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে কেনো চড় মেরেছিলেন সালমান শাহ?
সালমান শাহর হ*ত্যার পেছনে চু*মুর ঘটনাকে দায়ী করে ছোট ভাইয়ের চাঞ্চল্যকর দাবি**
ঢাকা: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃ*ত্যু র*হস্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তার ছোট ভাইয়ের একটি সাক্ষাত্কার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে viral হওয়ার পর বিষয়টি পুনরায় আলোচনায় এসেছে।
*ঘটনার সূত্রপাত:*
২০১৭ সালে একটি লাইভ সাক্ষাত্কারে সালমান শাহর ছোট ভাই দাবি করেন, ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলের একটি অনুষ্ঠানে সালমান শাহর তখনকার স্ত্রী সামিরা হককে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই গালে চুমু দিতে চাইলে সালমান শাহ তা প্রতিহত করেন এবং আজিজকে চড় মেরেছিলেন। এই ঘটনাকেই সালমান শাহর হত্যার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তার ছোট ভাই।
*হত্যার পটভূমি:*
সালমান শাহর ছোট ভাইয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে আজিজ মোহাম্মদ সামিরাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন এবং একইসাথে সালমান শাহকে হ*ত্যার পরিকল্পনা করেন।
*মৃ*ত্যুর পরের অবস্থা:*
সালমান শাহর মৃত্যুর সংবাদটি পরিবারকে টেলিফোনে জানান স্বয়ং সামিরা। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় তার বাসায় পৌঁছিয়ে বেশ কিছু অস্বাভাবিক বিষয় লক্ষ্য করেন:
- যে ফ্যানে তাকে ঝুলানো বলে দাবি করা হয়েছিল, সেটি একটুও বাঁকা ছিল না।
- সালমান শাহর গলায় কোনো রকমের দাগ বা চিহ্ন ছিল না।
- যে রুমে তাকে মৃ*ত অবস্থায় পাওয়া যায়, সেই রুমের পর্দা ছেঁড়া ছিল।
- তার শরীরে নানা স্থানে আ*ঘাতের চিহ্ন ছিল।
- ড্রইং রুমে অন্য ব্র্যান্ডের সি*গারটের অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়, যা সালমান শাহর নিয়মিত ধূ*মপা*নের ব্র্যান্ড ছিল না।
*পরিবারের প্রতিক্রিয়া:*
সালমান শাহর ছোট ভাই দাবি করেন, তার ভাই অল্পতেই হতাশ বা আ*ত্মহ*ত্যা করতে যাবেন না। তিনি বলেন, "তাকে অনেক সুপরিকল্পিতভাবে হ*ত্যা করা হয়েছে, এটা নিশ্চিত।" তাদের মা নিলা চৌধুরী কখনও মানতে রাজি হননি যে তার ছেলে আ*ত্ম*হত্যা করেছে। সালমান শাহর বাবাও ছেলের বিচার না দেখেই মারা যান।
*আদালতের রায় ও মামলা:*
সাম্প্রতিক সময়ে আদালত সালমান শাহর মৃ*ত্যুকে ‘অ*প*মৃ*ত্যু’ এর মামলা থেকে পরিবর্তন করে ‘হ*ত্যা’র মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম ঢাকার রমনা থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের তালিকায় রয়েছেন:
১. সামিরা হক (সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী)
২. ভিলেন ডন (সালমান শাহর বন্ধু)
৩. আজিজ মোহাম্মদ ভাই (বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী)
৪. লতিফা হক লুসি (সালমান শাহর শ্বাশুড়ি)
৫. আবুল হোসেন (বাসার কেয়ারটেকার)
৬. মনোয়ারা (বাসার কেয়ারটেকার)
৭. ডলি খাতুন (বাসার কেয়ারটেকার)
সহ মোট ১১ জন।
এছাড়াও, এই মামলায় চিত্রনায়িকা শাবনূর এবং চলচ্চিত্র শিল্পের আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।
সালমান শাহর পরিবারের দীর্ঘ দিনের লড়াই শেষে আদালতের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচারের আশা জেগেছে। এই মামলার মাধ্যমে তার মৃ*ত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তার ভক্ত ও স্বজনরা আশা করছেন।
সালমান শাহকে যেন আল্লাহ বেহেশতবাসী করেন।
সংগৃহীত
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0